নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির শেষ দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আরও ২২ জন। এ নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ইসিতে জমা পড়া ৫৬০টি আপিলের মধ্যে ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন। শুক্রবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি কার্যক্রম শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত রবিবার থেকে শুরু হয়ে ছয় দিন চলে শুনানি কার্যক্রম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং প্রার্থীর পক্ষে তার আইনজীবী ও প্রার্থী সশরীরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার প্রথম দিন ৯৪টি আপিল আবেদন শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। এতে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পান এবং ৩২ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। ছয়টি আপিলের রায় পেন্ডিং রাখা হয়। চারটি আপিলের বাদী অনুপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দিনে ৯৯ জনের আপিল শুনানিতে ৫১ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয় ৪১ জনের। আটটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি। তৃতীয় দিনে ৯৮ জনের আপিল শুনানি হয়। এতে ৬১ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয় ৩৫ জনের। দুটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি।
চতুর্থ দিনে ৪৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। ৫০ জনের আপিল নামঞ্জুর হয়। পঞ্চম দিনে প্রার্থিতা ফিরে পান ৪৪ জন। নামঞ্জুর হয় ৫২ আবেদন। চারজনের বিরুদ্ধে রায় স্থগিত রাখে ইসি। ষষ্ঠ এবং শেষ দিনে এসে ২২ জন প্রার্থিতা ফিরে পান এবং ৬২ জনের আবেদন না মঞ্জুর হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রার্থিতা বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময়সীমা শেষ হয় গত শনিবার। আপিল দায়েরের ৫ দিনে মোট ৫৬১টি আপিল জমা পড়ে। প্রথম দিন ৪২, দ্বিতীয় দিন ১৪১, তৃতীয় দিন ১৫৫, চতুর্থ দিন ৯৩ জন এবং পঞ্চম দিন ১৩০ জন আপিল আবেদন করেন। এসব আপিল আবেদনের মধ্যে ৩২জন আবেদন করেন বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু সেদিন থেকেই। চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।