নিজস্ব প্রতিবেদক:- বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গত ১৯ মে রাত আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকায় পোশাককর্মী এক তরুণী কাজ শেষে একটি বাসে বাসায় ফিরছিলেন। রাহাত্তারপোল এলাকায় বাসের ড্রাইভার এবং হেলপার উক্ত পোশাককর্মীকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তরুণীটি দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে লড়াই করে বাস থেকে দরজা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে নিজেকে রক্ষা করেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে আহত হয়ে মেয়েটি ০৬ দিন চিকিৎসা শেষে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। বাকলিয়া থানা পুলিশ ঘটনার সংবাদ পাওয়ার ০৬ ঘণ্টার মধ্যে ড্রাইভার ও হেলপারকে গ্রেফতার করে ও ঘটনায় জড়িত বাসটি আটক করে।
আবার গত ২২ মে রাত আনুমানিক ০১.২০ ঘটিকায় ইলেকট্রিক দোকানের একজন কর্মচারী কাজ শেষে অলংকার মোড়ে একটি বাসে উঠেন ভাটিয়ারী যাওয়ার জন্য। বাসে কোন সাধারণ যাত্রী ছিল না। ড্রাইভার সহ ০৪ জন সকলে ছিল ছিনতাইকারী। বাসটি একে খান এর দিকে যেতেই ছিনতাইকারীরা উক্ত যাত্রীকে বেদম মারধর করে তার কাছে থাকা ১,০০০/- টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অবশেষে তাকে খুলশী থানাধীন সেগুনবাগান এলাকায় অজ্ঞান অবস্থায় নামিয়ে দেয়। তিনি সুস্থ হয়ে পুলিশকে জানালে পাহাড়তলী থানা পুলিশ একদিনের মধ্যে ০৩ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করে।
দুইটি ঘটনায় জড়িত একই বাস, বাসটির সামনের নম্বর প্লেট এমনভাবে বাম্পারের আড়ালে লুকানো যেন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা না যায়, পিছনে কোনো নম্বর প্লেট ছিল না। বাসটি একাধিক অপরাধে জড়িত ।
এক্ষেত্রে রাত্রিকালে যারা গণপরিবহনে ভ্রমণ করবেন তাদের প্রতি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুরোধ রইল যেন বাস, সিএনজি, টেম্পো যেটাই হোক না কেন, তার সামনে ও পিছনে পরিষ্কারভাবে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লেখা আছে কিনা তা দেখে নিবেন। এছাড়া সিএনজির ক্ষেত্রে “আমার গাড়ি নিরাপদ” স্টিকারটি আছে কিনা তা দেখে নিবেন। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নাম্বারটি ছবি তুলে বা এসএমএস করে কাউকে পাঠাবেন। হাজার হাজার গণপরিবহনের মধ্যে গুটিকয়েক এরূপ অপরাধে জড়িত। এদের জন্য সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক।
বাস, সিএনজি, টেম্পো ও অন্যান্য গণপরিবহনের মালিক ও চালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা আপনাদের যানবাহনের সামনে এবং পিছনে নম্বর প্লেট সুস্পষ্ট ভাবে প্রদর্শন করবেন। অস্পষ্ট বা ঘষামাজা বা আড়ালে রাখা নাম্বার প্লেটযুক্ত যানবাহনের মালিকগণ সংঘটিত অপরাধের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে বিবেচিত হবেন। কোন যানবাহনের নাম্বার প্লেট সুস্পষ্ট ভাবে প্রদর্শিত না হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদা তৎপর।