আবু নাঈম,চট্টগ্রাম:- বসন্তের স্নিগ্ধ সকালের শিশির বিন্দুতে ভিজে লাল টকটকে হয়ে উঠেছে ডালিয়া। হিমেল হাওয়ায় সতেজ হয়ে উঠেছে গাঁদা ফুলের গাছগুলো। উড়ে উড়ে ফুল থেকে ফুলে প্রজাপতির আর মৌমাছির নাচন। সাজানো গোছানো ফুল বাগানের চারদিকে মৌ মৌ করছে রঙিন ফুলের সৌরভ।
ফুলের পরশে এমনই মোহনীয় হয়ে উঠেছে বোয়ালখালী থানার আঙিনা। উঁচু ভবন থেকে দেখলে মনে হবে যেন এক টুকরো মাটিতে ফুলের গালিচা বিছানো হয়েছে।
ফাগুনের শীতল রোদের কিরণ ফুলের গায়ে পড়তেই চারিদিকে তার আভা ছড়িয়ে পড়ছে। গাছের পাতার ভাঁজে ভাঁজে হেসে উঠছে সবুজ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য।
এমন নয়নাভিরাম ফুলের বাগান দেখতে চাইলে যেতে হবে বোয়ালখালী থানায়। এরকম ভিন্নধর্মী উদ্যোগে নিয়েছেন বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল করিম। যোগদানে পর থেকে বোয়ালখালী থানাকে ঢেলে সাজাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি।
মায়াবী সৌন্দর্যের মুকুট হয়ে যা পুরো থানা নৈসর্গিক করে তুলেছে। সকাল থেকে বাগান দেখতে ছুটে আসে শিক্ষার্থী আর ফুলপ্রেমীরা।
থানার অফিসার ইনচার্জের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে থানায় সেবা নিতে আসা জনসাধারণ। তারা বলছেন, অফিসার ইনচার্জের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। অনেক ওসি আসবে যাবে কিন্তু ওসি এই(আব্দুল করিম) কথা সবাই মনে রাখবে তার কর্মের জন্য।
বাগানে ঢুকে দেখা যায় পরিকল্পিতভাবে গোলাকৃতির ফুলের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে এরই মধ্যে নানান রঙ ও জাতের ফুল শোভা পাচ্ছে। এর মধ্যে গাঁদা ছাড়াও ডালিয়া, হাইব্রিড গাঁদা, সূর্যমুখী, সিলভিয়া, পাতা বাহার ইত্যাদি ফুলের নাম উল্লেখ করার মতো। নিয়মিত পরিচর্যায় ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে পুরো বাগান। এছাড়াও রয়েছে নানা রকম শীতকালীন সবজি।
এদিকে অফিসার ইনচার্জ আব্দুল করিম বলছেন, বোয়ালখালী থানায় যোগদানের পর দেখলাম এই জায়গাটি (যেখানে বাগান) পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে। তা দেখে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেবা নিতে আসা জনসাধারণকে মনোরম পরিবেশ উপহার দিতে গত দুইবছর ধরে নানান রকম ফুলের গাছ রোপন করে আসছি।
তিনি আরো বলেন, ফুল দিয়ে নয় দুষ্টের দমন সৃষ্টের পালন করার মাধ্যমে বোয়ালখালী থানার সুনাম ছড়িয়ে দিতে চাই চারিদিকে।
এছাড়া থানার প্রবেশ পথের দুই পাশেও নানান প্রজাতির ফুল গাছ লাগানো হয়েছে। ফুলের সৌরভের মত বোয়ালখালী থানার সুনাম ছড়িয়ে পড়ুক এমনটা প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় জনসাধারণ।