ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হাওলা মামা ভাগিনার বার্ষিক ওরশ শরীফের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের এসএমই শিল্পে সহায়তার জন্য সিটি ব্যাংকে আইএফসির ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ Logo আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স: সিএমপি Logo শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান শ্রম উপদেষ্টার Logo চট্টগ্রামে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে আইনজীবী Logo বোয়ালখালীতে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ দুইজন আটক Logo বোয়ালখালীতে যত্রতত্র পার্কিং, জব্দ ১০ গাড়ি Logo চট্টগ্রাম বোয়ালখালীর দুই শিক্ষার্থীর, সাঁতারে জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্ব অর্জন Logo ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের ২য় ‘ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয় Logo বোয়ালখালীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
ই-পেপার দেখুন

অবৈধ উপার্জনকারীর দোয়া কবুল হয় না

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ১১:০৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৮৪৯ বার পঠিত

কালেরপত্র ডেষ্ক :

হালাল উপার্জন মুমিনের জীবনে অপরিসীম প্রয়োজনীয়। ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য হালাল খাওয়া অত্যাবশ্যকীয়। সব সময় হালাল উপার্জনের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম।

মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি হালাল খাবার খেয়েছে, সুন্নাহ মোতাবেক আমল করেছে ও মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, সে জান্নাতে যাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ২৫২০)

যেকোনো অবৈধ পন্থায় উপার্জন ইসলামে নিষিদ্ধ। অবৈধ উপার্জনের ব্যাপারে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অবৈধ পন্থায় গ্রাস কোরো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তির কিয়দাংশ জেনে-শুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা বিচারকদের কাছে নিয়ে যেয়ো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৮)

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তার ইবাদত-বন্দেগির জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাদের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে রেখেছেন। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা হলো, ‘আমি জিন ও মানুষকে আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের থেকে কোনো রিজিক চাই না এবং তাদের থেকে আমি খাবারও চাই না।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ৫৬-৫৭)

নবী-ওলি থেকে নিয়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে হালাল রিজিক খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা পবিত্র বস্তু আহার করো, যেগুলো আমি তোমাদের রিজিক হিসেবে দান করেছি এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো, যদি তোমরা একমাত্র তারই ইবাদত করে থাকো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৭২)

হালাল ভক্ষণে মানুষের স্বভাব-চরিত্র সুন্দর হয়। সুকুমারবৃত্তি জাগ্রত হয়। শিষ্টের প্রতি মানুষ আগ্রহী হয়ে ওঠে। অন্যদিকে হারাম মানুষের দেহ-মনে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। নৈতিক অধঃপতন ডেকে আনে। তাই ইবাদত-বন্দেগির পূর্বশর্ত হলো পবিত্র বা হালাল পানাহার করা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে রাসুলগণ! আপনারা হালাল খাদ্য গ্রহণ করুন এবং নেক আমল করুন।’ (সুরা মুমিন, আয়াত : ৫১)

এ আয়াতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, সৎকর্ম সম্পাদন করা তখনই সম্ভব হবে, যখন মানুষের আহার্য ও পানীয় বস্তু হালাল হবে।

সমগ্র বিশ্বের মুসলমানরা আল্লাহর কাছে দোয়া করছে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় দোয়া কবুল হচ্ছে না। কারণ, যারা হালাল খাদ্য গ্রহণ করে না, আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন না। এছাড়াও দোয়া কবুল না হওয়ার আরো অন্যান্য কারণও অবশ্য রয়েছে।

রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি দূর-দূরান্তে সফর করছে, তার মাথার চুল এলোমেলো, শরীরে ধুলাবালি লেগে আছে। এমতাবস্থায় ওই ব্যক্তি উভয় হাত আসমানের দিকে তুলে সকাতর হে প্রভু! হে প্রভু! বলে ডাকছে। অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম। সে হারামই খেয়ে থাকে। ওই ব্যক্তির দোয়া কিভাবে কবুল হবে!’ (মুসলিম, হাদিস নং : ২৩৯৩)

অবৈধ সম্পদ দিয়ে দান-দক্ষিণা করে সাওয়াব কামনা করা গুনাহের কাজ। অনেকে ধারণা করেন, অবৈধ উপার্জন থেকে কিছু দান করে দিলে, অন্য অবৈধ সম্পদগুলো বৈধ হয়ে যায়। অথচ অবৈধ উপার্জনকারীকে অবশ্যই কিয়ামতের দিন জবাবদিহি করতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিবসে কোনো মানুষ নিজের স্থান থেকে এক বিন্দুও সরতে পারবে না, যতক্ষণ না তার কাছ থেকে চারটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে নেওয়া হবে। তন্মধ্যে একটি প্রশ্ন হচ্ছে, নিজের ধন-সম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে?’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪১৭)

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

হাওলা মামা ভাগিনার বার্ষিক ওরশ শরীফের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

অবৈধ উপার্জনকারীর দোয়া কবুল হয় না

আপডেট সময় ১১:০৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

কালেরপত্র ডেষ্ক :

হালাল উপার্জন মুমিনের জীবনে অপরিসীম প্রয়োজনীয়। ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য হালাল খাওয়া অত্যাবশ্যকীয়। সব সময় হালাল উপার্জনের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম।

মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি হালাল খাবার খেয়েছে, সুন্নাহ মোতাবেক আমল করেছে ও মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, সে জান্নাতে যাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ২৫২০)

যেকোনো অবৈধ পন্থায় উপার্জন ইসলামে নিষিদ্ধ। অবৈধ উপার্জনের ব্যাপারে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অবৈধ পন্থায় গ্রাস কোরো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তির কিয়দাংশ জেনে-শুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা বিচারকদের কাছে নিয়ে যেয়ো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৮)

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তার ইবাদত-বন্দেগির জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাদের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে রেখেছেন। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা হলো, ‘আমি জিন ও মানুষকে আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের থেকে কোনো রিজিক চাই না এবং তাদের থেকে আমি খাবারও চাই না।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ৫৬-৫৭)

নবী-ওলি থেকে নিয়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে হালাল রিজিক খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা পবিত্র বস্তু আহার করো, যেগুলো আমি তোমাদের রিজিক হিসেবে দান করেছি এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো, যদি তোমরা একমাত্র তারই ইবাদত করে থাকো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৭২)

হালাল ভক্ষণে মানুষের স্বভাব-চরিত্র সুন্দর হয়। সুকুমারবৃত্তি জাগ্রত হয়। শিষ্টের প্রতি মানুষ আগ্রহী হয়ে ওঠে। অন্যদিকে হারাম মানুষের দেহ-মনে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। নৈতিক অধঃপতন ডেকে আনে। তাই ইবাদত-বন্দেগির পূর্বশর্ত হলো পবিত্র বা হালাল পানাহার করা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে রাসুলগণ! আপনারা হালাল খাদ্য গ্রহণ করুন এবং নেক আমল করুন।’ (সুরা মুমিন, আয়াত : ৫১)

এ আয়াতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, সৎকর্ম সম্পাদন করা তখনই সম্ভব হবে, যখন মানুষের আহার্য ও পানীয় বস্তু হালাল হবে।

সমগ্র বিশ্বের মুসলমানরা আল্লাহর কাছে দোয়া করছে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় দোয়া কবুল হচ্ছে না। কারণ, যারা হালাল খাদ্য গ্রহণ করে না, আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন না। এছাড়াও দোয়া কবুল না হওয়ার আরো অন্যান্য কারণও অবশ্য রয়েছে।

রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি দূর-দূরান্তে সফর করছে, তার মাথার চুল এলোমেলো, শরীরে ধুলাবালি লেগে আছে। এমতাবস্থায় ওই ব্যক্তি উভয় হাত আসমানের দিকে তুলে সকাতর হে প্রভু! হে প্রভু! বলে ডাকছে। অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম। সে হারামই খেয়ে থাকে। ওই ব্যক্তির দোয়া কিভাবে কবুল হবে!’ (মুসলিম, হাদিস নং : ২৩৯৩)

অবৈধ সম্পদ দিয়ে দান-দক্ষিণা করে সাওয়াব কামনা করা গুনাহের কাজ। অনেকে ধারণা করেন, অবৈধ উপার্জন থেকে কিছু দান করে দিলে, অন্য অবৈধ সম্পদগুলো বৈধ হয়ে যায়। অথচ অবৈধ উপার্জনকারীকে অবশ্যই কিয়ামতের দিন জবাবদিহি করতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিবসে কোনো মানুষ নিজের স্থান থেকে এক বিন্দুও সরতে পারবে না, যতক্ষণ না তার কাছ থেকে চারটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে নেওয়া হবে। তন্মধ্যে একটি প্রশ্ন হচ্ছে, নিজের ধন-সম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে?’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪১৭)