কালেরপত্র ডেষ্ক :
শিল্পকে এগিয়ে নিতে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে দুই শতাংশ সুদে ঋণ দিতে পারলে কৃষি বিপ্লব ঘটবে। এর ফলে কৃষকরা সরাসরি লাভবান হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা: আগামীর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তাদের বক্তব্যে এ দাবি উঠে আসে।
বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে এফবিসিসিআই’র ওই সেমিনার আয়োজন করে। ভার্চুয়াল সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নেই কাজ করে গেছেন। আজ বিদ্যুৎসহ অনেক খাতেই আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিতে আমাদের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। দেশে ও দেশের বাইরে পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে।
কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে স্বল্প সুদে ঋণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে ২ শতাংশ হারে সুদে ঋণ দিয়ে কৃষি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করব। এর মাধ্যমে কৃষি বিপ্লব ঘটবে, কৃষকরা সরাসরি লাভবান হবে। এছাড়া এ বছরে আলুর উদ্বৃত্ত উৎপাদন হওয়ার কারণে আলু থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠনের পরপরই বঙ্গবন্ধু কৃষি উপকরণ, কৃষি গবেষণা, নতুন জাত উদ্ভাবন ও কৃষিখাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদিকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষিখাতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন। কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বাজেটে ৬০ শতাংশ পল্লী এলাকায় উন্নয়নের জন্য ব্যয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু প্রায় ২২ লাখেরও বেশি কৃষক পরিবারের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আজ ১৩ খাতে বিশ্বে প্রথম ১০টি স্থানে রয়েছে। কাঁচা পাট রফতানি এবং ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে ১ম, পাটপণ্য উৎপাদন, কাঁঠাল এবং ছাগল উৎপাদনে ২য়, মিঠা পানির মাছ ও সবজি উৎপাদনে ৩য়, চাল উৎপাদনে ৪র্থ, আলু উৎপাদনে ৬ষ্ঠ এবং আম ও পেয়ারা উৎপাদনে আমরা বিশ্বে ৮ম স্থানে রয়েছি। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পপণ্য এবং পচনশীল কাঁচা সবজি, আলু, ফলমূল ও বীজ জাতীয় ফসল দীর্ঘ সময় রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আধুনিক হিমাগার স্থাপনে এখনো পিছিয়ে আছি। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে এসব হিমাগার প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এর আগে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নিয়েছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. অ্যান্ড চ্যানেল আই এর ফাউন্ডার পরিচালক শাইখ সিরাজ এবং প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খাঁন চৌধুরী।