বোয়ালখালী প্রতিনিধি:- বোয়ালখালী উপজেলা সদরে রাস্তায় ঘুরছে বিশালদেহী হাতি। পিঠে বসা মালিক। মালিকের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতিটি। তারপর শুঁড় সোজা এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। এভাবেই অভিনব কৌঁশলে রমজানের ঈদকে সামনে রেখে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায় কেউ ভয়ে কেউ বা আবার খুশিতে দিচ্ছে টাকা। সর্বনিন্ম ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরণ অনুযায়ী একশ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকান নয় সড়কে চলাচলকারী পথচারীদের থেকে টাকা তুলতে দেখা যায় এই হাতিকে। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় উপজেলায়।
খাজা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী রাজীব বলেন, ‘টাকা না দিলে যাবে না। এগুলো চাঁদাবাজি শহরে প্রশাসনের তাড়া খেয়ে এখন বোয়ালখালীতে প্রবেশ করছে। এদিকে পৌরসভার কয়েকজন কর্মচারী ছবি তুললেও তারা এবিষয়ে কোনো সর্তক করছেন বলে অভিযোগ তার।’
সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয় কাউকে জোর করি না এমনটাই বললেন হাতির মালিক। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। দু’চার টাকা তুলে নিজের ও হাতির ভরণপোষণ করি।
উপজেলার সদরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হয়। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরানো হয় না। অনেক সময় মহিলা ক্রেতারা হাতি দেখে ভয় পান। এতে ব্যবসায়ের ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাতির কারণে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। দোকান থেকে চাঁদা না পাওয়া পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে হাতি। এতে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।’
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, ‘হাতি দিয়ে টাকা তোলার বিষয়ে এখনো কেউ আমাদের কিছু জানায়নি। তবে প্রতিবেদক থেকে খবর পেয়ে মোবাইল টিম পাঠিয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।’
ই-মেইল:
[email protected],
[email protected]
প্রথম
তলা, হোল্ডিং নং# ১৩৮১ (হাজী মার্কেটের পাশে) খন্দকার বাড়ির মোর,ঢাকা-১২১২,বাংলাদেশ।