বোয়ালখালী প্রতিনিধি ।।চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে প্রবাসীর একটি দোকান জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পৌরসভাধীন খাজা সুপার মার্কেটের দ্বিতীয়তলায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘটিত ঘটনায় ওই প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে বোয়ালখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার সদরের ঐতিহ্যবাহি খাজা সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় হামিদুল হক নামের একব্যক্তি থেকে দুটি দোকান ভাড়া নেয় মো. রোকন উদ্দিন নামের একব্যক্তি। রোকন উদ্দিন ওই দুটি দোকানে টিভি, ফ্রিজের শোরুম করে ব্যবসা করে আসছে। রোকনের দোকানের পাশে অপর একটি দোকান জনৈক ব্যক্তি আব্দুল হামিদ থেকে ভাড়ায় নিয়ে আলভী গিফট সেন্টারে নামে ব্যবসা করে আসছে। গত ৪ জানুয়ারি রাতে রোকন উদ্দিন দোকানের জমিদার এবং তাহার মনোনীত প্রতিনিধির সাথে কোনো ধরণের আলাপ-আলোচনা না করে আলভী গিফট সেন্টারের সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে তার পূর্বের দোকানের সাথে মিলিয়ে নেয় এবং আলাদা দোকানটির কোনো চিহৃই রাখেনি। খবর পেয়ে দোকানের মালিক প্রবাসী আব্দুল হামিদের স্ত্রী খতিজা বেগম পরেরদিন দোকানে গিয়ে রোকন উদ্দিনের কাছে পাশ^বর্তী দোকানের দেয়াল ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে রোকন উদ্দিন কোনো সদুত্তর না দেয়নি।
এঘটনায় দোকানের মালিক প্রবাসী আব্দুল হামিদের স্ত্রী বিবি খদিজা বেগম বাদী হয়ে বোয়ালখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বিবি খতিজা বেগম বলেন, দোকানের সীমানা দেওয়াল ভাঙ্গার খবর পেয়ে ৫ জানুয়ারি মার্কেটে ছুটে যায়। কোনো ধরণের আলাপ-আলোচনা ছাড়াই জোরপূর্বক দোকানের দেওয়াল ভাঙ্গার কারণ জানতে চাইলে রোকন উদ্দিন কোনো সদুত্তর না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যায়। পরে প্রবাসে থাকা স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
প্রবাসী মো.আব্দুল হামিদ জানান, মার্কেটে রোকন উদ্দিনের কাছে আমার মালিকানাধীন দুইটি দোকান ভাড়ায় দেয়া আছে। আরো একটি দোকান লাগলে তিনি আমাকে জানাতে পারতেন। কিন্তু আমি কিংবা আমার মনোনীত প্রতিনিধির সাথে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা না করে এভাবে রাতের আধারে একটি দোকানের সীমানা পিলার ভেঙ্গে অপর দোকানের সাথে মিলিয়ে নিয়ে তিনি কাজটি উচিত করেনি এবং চুক্তিনামার শর্ত ভঙ্গ করেছেন। এব্যাপারে আমি পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চায়।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আব্দুল করিম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ই-মেইল:
[email protected],
[email protected]
প্রথম
তলা, হোল্ডিং নং# ১৩৮১ (হাজী মার্কেটের পাশে) খন্দকার বাড়ির মোর,ঢাকা-১২১২,বাংলাদেশ।