কালেরপত্র ডেষ্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘টিকা নিয়ে কত কুৎসা আর অপপ্রচার চালালো বিএনপি। আবার টিকাও নিল। গাধা জল খায়, ঘোলা করে খায়।’
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোকসভায় এসব কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এ শোকসভার আয়োজন করে। সমাবেশে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সহসভাপতি মহিউদ্দীন রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, ইফতেখার হোসেন বাবুল, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, জসিম উদ্দীন শাহ্ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে- এমনটা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্য কোটি কোটি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। বিএনপি মনে করেছিল, সরকার টিকা সংগ্রহ করতে পারবে না। পরে যখন গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন দাবি করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের পক্ষে যারা রাজনীতি করেন তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিৎ নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে খুন করা না হলে আজকের বাংলাদেশ স্বাধীনতার ১৫ বছরের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হতো। ৭৫ পরবর্তীতে দুর্নীতি আর দুশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতির ঘূর্ণায়মান চাকাকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপুরণে অদম্যগতিতে এগিয়ে চলছে।’
‘বাংলাদেশে সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা চালু করতে রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা যেমন নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন; একইসঙ্গে যারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায় তাদের রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এ দলের রাজনীতি যারা করেন তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড অস্বীকার করেন’, মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
করোনা সম্পর্কে কিছু বুদ্ধিজীবীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনার শুরুতে অনেকে আশঙ্কা করেছেন। যেসব বুদ্ধিজীবী টকশোবিদ, যারা রাত ১২টার পর টেলিভিশনের পর্দা গরম করেন, তাদের কিচিরমিচিরের কারণে অনেক সময় কান ঝালাপালা হয়। তাদের কেউ কেউ বলেছেন, দেশে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মরবে। তাদের আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’