কালেরপত্র ডেষ্ক :
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, জাগ্রত ইতিহাস। তিনি একটি স্বাধীন জাতিসত্তার অপরিমেয় অহংকার, বর্ণিল ঐশ্বর্য।
রবিবার জাতির জনকের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আলোচনা সভা ও মাহফিলের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগস্ট মাসটি বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশের জন্য শোকের মাস। হৃদয়ের রক্তক্ষরণের মাস। অনুভূতি, উপলব্ধি ও মননশীলতার পরতে পরতে অসহ্য ও তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা বয়ে যাওয়ার মাস। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকের দিন। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। পঁচাত্তরের এ দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম সেই কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি। তার পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনকে হত্যা করেছিল। সেনাবাহিনীর বিপথগামী সদস্যরা সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া। এ ঘটনায় সারাবিশ্ব হতবাক হয়ে যায়, ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পুরো জীবনের চেতনার সমস্ত অংশটুকু ছিল রাজনীতির সমুদ্রের অতলান্তে নিমজ্জিত। ব্যক্তি জীবনের প্রেম-ভালোবাসা, চাওয়া-পাওয়া সবই ছিল রাজনৈতিক চেতনার গভীরে নিমগ্ন। তার কালজয়ী নেতৃত্বকে ঘিরেই আবর্তিত হয় প্রতিটি আন্দোলনের স্রোতধারা। জাতির শাণিত শিরায় অকুতোভয় সাহস ছড়িয়ে কোটি কোটি মানুষের ইচ্ছার অনিন্দ্য কুসুম ফুটিয়ে তোলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ভৌগলিক মুক্তির পাশাপাশি, অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে সোনার বাংলা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন। তার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে। ঘাতকরা জানতো না যে, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না, কেননা বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।