কালেরপত্র ডেষ্ক :
বিসিএস প্রশাসন একাডেমি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার বিচক্ষণতা, যোগ্যতা, দক্ষতা দিয়ে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বেই এদেশের মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির দূত। বাঙালি জাতির মহান নেতা হিসেবে তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি তার দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে এদেশের মানুষকে একতাবদ্ধ করে স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বলেই আমরা পেয়েছিলাম কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। তাই বঙ্গবন্ধু আমাদের ঐক্যের প্রতীক হয়ে আছেন।’
‘তিনি জানতেন অনেকেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে। কিন্তু জাতির পিতা হিসেবে তিনি কাউকে অবিশ্বাস করেননি। বাঙালি জাতিকে তিনি প্রচণ্ড বিশ্বাস করতেন। এই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। অথচ তাকেই নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। এমন করুন ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।’
ফরহাদ হোসেন আরো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করা। এই লক্ষ্য পূরণে সরকারি কর্মচারীদের বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ, স্বাধীনতার চেতনা এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মমিনুর রশিদ আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মো. মঞ্জুর হোসেন।