চট্টগ্রাম: নগরে আবারও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৪ মে) সকাল থেকে বৃষ্টিতে এ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।বৃষ্টি শুরুর পর আধা ঘণ্টার মধ্যে নগরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
দুপুরে বৃষ্টি থামার এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরও কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটুসমান পানি জমে যায়।এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরের চকবাজার, ষোলশহর, ২ নম্বর গেট, শুলকবহর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, ডিসি সড়ক, পাঠানটুলী এলাকায় পানি জমে যায়।
চকবাজারের বাসিন্দা ও মুদি দোকানি মাসকুর রফিক বলেন, বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে এলাকার রাস্তাঘাট। এতে বিপণী বিতান ও কাঁচাবাজারে আসা মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন এলাকার খালে কাজ চলমান থাকায় নালার পানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টি ছাড়াও অনেক অলিগলিতে পানি জমে আছে। বাড়তি ভাড়া দিয়ে অনেকে রিকশায় চলাচল করছে। বাঁধের কারণে বৃষ্টির পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তা রাস্তা ও অলিগলিতে জমে যায়। নগরের চকবাজার, বাদুড়তলা, কাপাসগোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গোড়ালি থেকে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এভাবে জলাবদ্ধতা হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। বিশেষ করে সকালে অফিসগামী লোকদের ভোগান্তি ছিল বেশি।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে সিডিএ দুটি, পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি ও সিটি করপোরেশন একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। ৫-৯ বছর ধরে এসব প্রকল্পের কাজ চললেও একটি প্রকল্পের কাজও শেষ হয়নি।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (২৪ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ পরিস্থিতি আরও দুইদিন থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ সুমন সাহা বাংলানিউজকে জানান, এ সময় সাধারণভাবে যে বৃষ্টিপাত হয় তা-ই হচ্ছে। আরও দুইদিন এই পরিস্থিতি থাকবে। রাতের দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।