বাদী মোঃ রহিম(ছদ্মনাম)(৪৪) এর মেয়ে সামিয়া(ছদ্মনাম)(১৬) চট্টগ্রাম সিটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী । বিগত ০৩ মাস যাবৎ বাদীর উক্ত মেয়ে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডাক্তারের চিকিৎসা নেন। একপর্যায়ে বাদীর বাসার মালিকের ভাই বাদীকে পার্শ্ববর্তী হাজী নসু মালুম মসজিদ এর মোয়াজ্জেম মোঃ আশিকুল ইসলাম(৩৪) ঝাঁড় ফুক করে চিকিৎসা করায় বলে জানান। পরে বাদী সরল বিশ্বাসে মোয়াজ্জেম মোঃ আশিকুল ইসলাম(৩৪) কে দিয়ে তার মেয়েকে ঝাঁড় ফুক করে চিকিৎসা করানোর সিন্ধান্ত গ্রহণ করেন। চিকিৎসা প্রদানের জন্য উক্ত মোয়াজ্জেম ইং ০২/০৬/২০২২ তারিখ বিকাল অনুমান ৪:৩০ ঘটিকার সময় বাদীর বাসায় এসে বাদীর মেয়েকে দেখে তাকে জ্বীন আছর করেছে বলে জানায়। মোয়াজ্জেম আরও জানায়, মেয়েকে ঝাঁড় ফুকের দ্রুত চিকিৎসা না করালে ০৩ দিনের মধ্যে মারা যাবে এবং চিকিৎসা খরচ বাবদ ২১,০০০/-টাকা লাগবে।
বাদী ভয়ে তার মেয়েকে চিকিৎসা করানোর জন্য মোয়াজ্জেমকে চিকিৎসা বাবদ নগদ ১০,০০০/-টাকা প্রদান করলে উক্ত মোয়াজ্জেম বাদীর মেয়েকে ঝাঁড় ফুকের চিকিৎসা শুরু করে। মোয়াজ্জেম ভিকটিম সামিয়া(ছদ্মনাম)(১৬) কে দরজা জানালা বন্ধ করে রুমের মধ্যে একা থেকে চিকিৎসা করতে হবে বলে বাদীকে অবগত করলে বাদী ও তার স্ত্রী সরল বিশ্বাসে তার কথায় সম্মত হয়। পরবর্তীতে গত ০২/০৬/২০২২ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৬:১০ ঘটিকা হতে ৬:১৫ ঘটিকার মধ্যে সদরঘাট থানাধীন বাদীর বসতঘরে মোয়াজ্জেম মোঃ আশিকুল ইসলাম(৩৪) ঝাঁড় ফুকের চিকিৎসার নামে বাসার দরজা জানালা বন্ধ করে ভিকটিমের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন পীড়ন করে।
পরে বাদী আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় তাকে আটক করে ‘‘জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯” এ সংবাদ প্রদান করলে সদরঘাট থানার অফিসার ও ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উক্ত ব্যাক্তিকে আটক করেন।