চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি ঘিরে সংঘর্ষে আইনজীবী নিহতের ঘটনা হাইকোর্টে তুলে ধরে অন্তত আগামী দু’সপ্তাহ জরুরি অবস্থা ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইনজীবী।
গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে আইনজীবী মো. মনির উদ্দিনআদালতের স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বুধবার সকালে তিনি এ আরজি জানান। এসময় আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের বক্তব্য শুনে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার অগ্রগতি জানাতে বলেছেন।এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী মনির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর ও রংপুরে আপাতত ১৪৪ ধারা জারির আরজি জানিয়েছি। ইসকন নিষিদ্ধ ও চট্টগ্রামের ঘটনাসহ সার্বিক বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলেছেন আদালত।
এ বিষয়ে পরে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ইসকন নিয়ে আজ একজন আইনজীবী দুটি পত্রিকায় আসা প্রতিবেদন আদালতের দৃষ্টিতে আনেন। স্বতঃপ্রণোদিত রুল ইস্যুর প্রার্থনা করেন। তাঁর প্রার্থনার মূল প্রতিপাদ্য—ইসকনকে যেন নিষিদ্ধ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যাতে নির্দেশ দেওয়া হয়, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনা তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হয়। ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা, অন্তত আগামী দুই সপ্তাহ।
এ পরিস্থিতিতে আদালত আইনজীবীকে ডেকে পাঠান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদালতের সামনে তিনি বলেন, ইসকনের ইস্যুটা দুর্ভাগ্যজনক। যে আইনজীবী এটা এনেছেন, তাঁর হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, এই রক্তক্ষরণ বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ের। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ ঘটনা ফৌজদারি অপরাধ। সরকার গুরুত্বসহকারে এ ঘটনাকে দেখছে, যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এই সংগঠন রেজিস্টার্ড (নিবন্ধিত) কি না, এই সংগঠন নিষিদ্ধ হবে কি না, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এগুলো সরকারের পলিসি ডিসিশন (নীতিগত সিদ্ধান্ত)। সরকার এটার খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ আইনিভাবে দেখবে। সবকিছু আদালতের সামনে এসে সুয়োমোটো নিষিদ্ধ করতে হবে—এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আপনাদের (আদালতের) জুডিশিয়াল রিভিউর অ্যাকশন যাওয়া উচিত নয় বলে মনে করি। এটা সাংবিধানিক আইনের সঙ্গে কতটুকু যাবে, তা আমাদের বিবেচনা করতে হবে। এ কারণে এটা প্রয়োজন মনে করছি না। এটা প্রিম্যাচিউর। দেখেন, সরকার কী করছে। সরকার কীভাবে হ্যান্ডেল করছে। সব পর্যালোচনা করে তারপর যদি হয়, তখন প্রোপার ওয়েতে এলে দেখা যেতে পারে।…আদালত বললেন, কতটুকু প্রোগ্রেস আছে, কাল সকালে জানাতে। আমি জানাব।’