কক্সবাজার: অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায়। রোববার (১৪ মে) সকাল সোয়া ৯টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বাড়তে থাকে দমকা হাওয়া।
শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সমুদ্র পাড়ে অন্য সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি বাতাস বইছে। বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।
শাহপরীর দ্বীপ কাজী বশির আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, বাতাসের গতিবেগ অনেক বেশি। খবর শুনেছি, এখন এর কেন্দ্রের গতিবেগ ২১০ কিলোমিটার।
বেলা ৩টার মধ্যে ‘মোখা’ কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে দমকা হাওয়া বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
তিনি জানান, শনিবার মধ্যরাত থেকে হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার (১৪ মে) সকালে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিও বেড়ে গেছে। জোয়ারের পানি ঢুকছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯টি মেডিক্যাল টিম। দেড় ’শ মেট্রিক টন চাল, ৬.৯ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন, ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১৯ হাজার নগদ টাকা মজুদ করা হয়েছে। একইসাথে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সেন্টর্মাটিন-টেকনাফে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে মাইকিং করছি। সার্বক্ষণিক সেন্টমার্টিন দ্বীপের খোঁজ খবর রাখছি।
ই-মেইল:
[email protected],
[email protected]
প্রথম
তলা, হোল্ডিং নং# ১৩৮১ (হাজী মার্কেটের পাশে) খন্দকার বাড়ির মোর,ঢাকা-১২১২,বাংলাদেশ।