কালেরপত্র ডেস্ক :
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে চারদিক দিয়ে ঢুকতে শুরু করেছে অপ্রতিরোধ্য সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান যোদ্ধারা। তালেবানদের ভয়ে সব সরকারি কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থল থেকে পালিয়ে গেছেন। প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এখন কাবুলের পার্ক এবং খোলা স্থানে অবস্থান করছে।
আজ রবিবার (১৫ আগস্ট) আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। তারা জানায়, পতনের মুখে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। আগে থেকেই সেখানে সব দপ্তর খালি করে দিয়েছে আশরফ গনি সরকার।
কাবুলে অবস্থানকারী আল জাজিরার প্রতিবেদক চারলোটে বেলিস জানান, কাবুলে বিক্ষিপ্ত গোলাগুলির পাশাপাশি সাইরেনের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। শহরের ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার উড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে।
তালেবান নেতারা জানিয়েছেন, জোর করে কাবুল দখলের ইচ্ছা তাদের নেই। তালেবান যোদ্ধারা কাবুলের উপকণ্ঠে প্রবেশ করার মুহূর্তে তারা একটি বিবৃতি জারি করেছে। এক টুইট বার্তায় তারা জানিয়েছে, ইসলামিক আমিরাত তার সব যোদ্ধাকে কাবুলের প্রধান ফটকে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছে। শহরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
কাতারের দোহায় অবস্থানকারী এক তালেবান নেতা জানিয়েছেন, তাদের যোদ্ধাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে। এছাড়া কেউ চলে যেতে চাইলে তাকে নিরাপদে বের হওয়ার সুযোগ দিতে বলা হয়েছে। নারীদের সুরক্ষিত এলাকায় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তালেবানের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্মানের কোনো ক্ষতি না করে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে (ক্ষমতার) স্থানান্তর নিশ্চিত করতে আলোচনা চলছে।’
এছাড়া পরে দেওয়া আরেকটি বিবৃতিতে নিজেদের অর্থ, সম্পদ ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আতঙ্কিত না হতে ব্যাংক, বাণিজিক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। সশস্ত্র যোদ্ধারা তাদের কোনো ক্ষতি করবে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি এক টুইট বার্তা লিখেছেন, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। কাবুলে কোনো সমস্যা হয়নি। কাবুল এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কাবুলে অবস্থানকারী যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের কাবুলের উজির আকবর খান জেলা থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে সেনা পাঠানো হচ্ছে।