কক্সবাজার জেলাঃ-আসন্ন কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ড (মহেশখালী) কেন্দ্রের সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ সাইফুল কাদির টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে ব্যাপক প্রচারনা নিয়ে গণসংযোগে চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি জানান আমার নির্বাচনী প্রতিক টিউবওয়েল, ব্যক্তিগতভাবে একজন সফল ব্যবসায়ী, তার পিতা- আলহাজ্ব মোক্তার আহমদ (কর্ণফুলী পেপার মিলের পরিবেশক), আপন চাচা আলহাজ্ব মকছুদ আহমদ ইব্রাহীম সল্ট ইন্ড্রাট্রিজ এর সত্বাধিকারী। অপর চাচা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বর্তমানে চট্টগ্রাম জজ কোর্ট এর সিনিয়র আইনজীবি হিসেবে কর্মরত। তিনি ধলঘাটা ইউনিয়নের মহুরীঘোনা গ্রামের অধিবাসী। তার পরিবারিক পরিচিতিতে বলে আমাদেরকে সমগ্র মহেশখালীতে ইসমাইল সিকদারের পরিবারের সন্তান হিসাবে চিনে ও জানে। একজন সফল ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান বর্তমানে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সিনিয়র সদস্য এবং ছাত্র জীবনে ওমরগনি এম.ই.এস কলেজ চট্টগ্রাম শাখার একজন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলোন। অতিথে সমাজসেবা মূলক বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ছিলেন সাইফুল কাদির বিএ।
তিনি আরো জানান,বিগত সময়ে পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্বাচন ও ধলঘাটা, মাতারবাড়ী সহ উপজেলার জন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে কথা বলা এবং অধিকার আদায়ের অগ্রনী ভূমিকা ছিল।
ভোটারদের উদ্দেশ্য বলেন,
আমাদের ৮নং ওয়ার্ডের ১১৭ জন ভোটার সকলেই সচেতন, জনবান্ধব ও এলাকার উন্নয়নকামী নারী/পুরুষ। আপনাদের সু-চিন্তিত রায়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য একজন জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অত্র মহেশখালী ৮নং ওয়ার্ডের অবহেলিত জনপদের শিক্ষা, অবকাঠামো, জনগুরুত্বপূর্ণ কল্যাণমূলক কর্মকান্ড সম্পাদনের জন্য একজন আদর্শবান দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করবেন বলে আশা করেন সাইফুল কাদির।
তিনি জানান, আমি আপনাদের কাছে নতুন হলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। কেননা আপনারাও আমার মত একজন সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত ভোটার। আমাদের চেয়ে আপনাদের চিন্তা-চেতনা অভিজ্ঞতা কোন অংশে কম নয়। আমার সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী সকলের দোয়ারে দোয়ারে হাজির হয়েছি।আপনারা আমাকে যেটুকু পরামর্শ, ভালবাসা, অনুপ্রেরণা দেখিয়েছেন তাতে আমি সত্যি বিমুহিত ও অভিভুত।
রাজনৈতিক প্রেক্ষপট নিয়ে মহেশখালীতে বিগত ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে কোন না কোনভাবে দেখেছি সকল নির্বাচনে কিছু চিরচেনা মুখ পদ ও পদবীর জন্য আসনে আসিন হন। মনে হয় যেন, চেয়ার শুধু তাদের জন্য সংরক্ষিত। তারাই যেন চেয়ার আগলে রাখে। আমি নানান ঝঢ় ঝঞ্জা উপেক্ষা করে এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে সৎ সাহস নিয়ে সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী। আগামী ১৭ অক্টোবর ২০২২ মহেশখালী উপজেলা পরিষদ হলরুমে আমার নির্বাচনী প্রতিক টিউবওয়েল এ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।
অনেক সাধারণ মানুষ মনে করেছেন দৌড়াদৌড়ির প্রতিযোগিতায় আমি বিক্রিত লোক। এ ধরনের কাল্পনিক স্বপ্ন যারা দেখছেন হয়ত তারা মরিচিকার পেছনে ছুটছেন।
ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে বলেন কিছু কিছু ঘটনা ইতিহাস ও কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকে:
বিগত সময়ে অনেক নির্বাচনের দিন হঠাৎ বিনামেঘে বজ্রপাতের ন্যায় সন্ধা বেলায় ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে যায়। আশা করছি এবারে পূনরাবৃত্তি হবেনা না। দক্ষ প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্তা ও বিশ্বাস রাখি যে, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মাধ্যমে ভোটারদের গনতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্টা করবেন।
জনপ্রতিনিধির ভোটে নির্বাচিত হবে একজন প্রতিনিধিঃ-আপনারা যারা ভোটের দিন এই গুরু দায়িত্বে দায়িত্ববান হবেন তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ রইল যেন নিরপেক্ষতার যোগ্যত্তা মাথায় রেখে সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণ ভোট উপহার দিলে আগামীতে আপনাদের খেদমত করার সুযোগ হয়। আমি কারও লোভের বশিভূত হয়ে এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিনি। আপনারা আমার ব্যাপারে সঠিক যাচাই-বাচাই করে মত প্রকাশ করবেন। পরিশেষে সকলের দোয়া ও ভালবাসা চেয়ে এবং ১৭ তারিখ টিউবওয়েল মার্কায় একটি ভোট ভিক্ষা করেন।
তরুন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে জনপ্রতিনিধি ভোটারগণ মত প্রকাশে সহজ ও নির্লোভ মানুষ হিসাবে সাইফুল কাদিরকে জয়জুক্ত করতে আগ্রহী বলে অনেক ভোটারগণ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।