রনজিৎ শীল,চট্টগ্রাম :-চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। সরকারের প্রত্যেক উন্নয়ন কর্মকান্ড আরও দৃশ্যমান করতে এখন থেকে সকল দপ্তর ও সংস্থার উন্নয়ন বরাদ্ধ, কাজের অগ্রগতি, বাস্তবায়ন ও বাস্তবায়নের হার ছবিসহ এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ সরকারের আমলে মেগা প্রকল্পসহ দেশের প্রত্যেকটি বড়-ছোট প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান। সরকারের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ যাতে নি¤œমানের না হয় সে ব্যাপারে তদারকি বৃদ্ধি করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সমন্বয় সভায় এসব বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে। সরকার কোথায় কি উন্নয়ন করছে সেগুলোর ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। আজ ১৯ মার্চ রোববার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিজেকেএস আউটার স্টেডিয়ামকে মেলার পরিবর্তে পুরোপুরি খেলার মাঠে পরিণত করতে মাঠ ঘিরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো জেলা প্রশাসন কর্তৃক উচ্ছেদ করায় রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল ডিসিকে ধন্যবাদ জানান।
পটিয়ার সালেহ নূর ডিগ্রী কলেজ, ফটিকছড়ির শামসুল ও গর্জনিয়া মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নি¤œমানের কাজ হওয়ায় এক বছরের ব্যবধানে ছাদ ছুঁইয়ে পানি পড়ে-উপজেলা চেয়ারম্যানদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ডিসি বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে কাজের মান ভালো না হলে লোক দেখানো কাজের প্রয়োজন নেই, গাছ তলায় বসে পড়লে আরও ভালো। শিক্ষা প্রকৌশল বা ফ্যাসিলিটিটিজ ডিপার্টমেন্টের ১৮টি কাজের তালিকা, কোন্ উপজেলায় কোন্ প্রতিষ্ঠান, কোন্ অর্থ বছরে, কাজের অগ্রগতি কতটুকু তার ছবিসহ জেলা প্রশাসককে জানাতে হবে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এ ব্যাপারে অবহিত করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা, প্রাণি সম্পদ, সমাজসেবা, পরিবেশ অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর, বিসিক, কৃষি সম্প্রসারণ, জেলা ক্রীড়া, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের যে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান সেগুলো যাতে দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্মত হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও আন্তরিক হতে হবে। নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো করতে হবে। জেলা পরিষদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে যে প্রকল্পগুলো উপজেলায় যাচ্ছে সেগুলোর গুণগত মান ঠিক রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে চট্টগ্রামে জিরো হোম ডেলিভারী নিশ্চিতসহ মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যে সকল সরকারী সম্পত্তি বেদখল হয়েছে সেগুলো তালিকা করে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। পবিত্র এ রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা পর্যায়ে ৩০টি ও নগরীতে ১০টি মোবাইল কোর্ট টিম কাজ করে যাচ্ছে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে আমরা সফল হবো।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুঃ মাহমুদ উল্লাহ মারূফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসান, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (পটিয়া), মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী (চন্দনাইশ), হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), মোঃ জসিম উদ্দিন (মিরসরাই),ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), এস.এম সেলিম (বোয়ালখালী), উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুন (বোয়ালখালী) মাহফুজা জেরীন (মিরসরাই), মোঃ শাহিদুল আলম (হাটহাজারী), আবদুস সামাদ সিকদার (রাউজান), আতাউল গণি ওসমানী (রাঙ্গুনিয়া), মোঃ আতিকুল মামুন (পটিয়া), মাহমুদা বেগম (চন্দনাইশ), ফাতেমা তুজ জোহরা (সাতকানিয়া), শরীফ উল্লাহ (লোহাগাড়া), মোঃ মামুনুর রশীদ (কর্ণফুলী), মোঃ ইশতিয়াক ইমন (আনোয়ারা), মোঃ সাইদুজ্জামান চৌধুরী (বাঁশখালী), আনোয়ারা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃনাল কান্তি চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, জলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সরকার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উত্তর) মোজাম্মেল হক শাহ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়–য়া, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল আলম, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ফরিদুল আলম হোসাইনী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা নাজমুস সুলতানা সীমা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (রাউজান) এর জি.এম মোঃ সরওয়ার জাহান, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক, জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ মোসলেম উদ্দিন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক রিংকু কুমার শর্মা, পৌর মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন (মিরসরাই), মুঃ মাহাবুবুল আলম (চন্দনাইশ) প্রমূখ। সভায় সরকারের বিভিন্নস্তরে কর্মরত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।