বোয়ালখালী পৌরসভার হযরত পেতন আউলিয়া শাহ ওরশ উদযাপনে অপসংস্কৃতি রোধে বিধি নিষেধ দিলেন পৌর প্রশাসন।মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে অপসংস্কৃতি ও গান বাজনা বন্ধে চিঠি দিয়েছেন পৌরমেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর।চিঠিতে উল্লেখ করেন, বোয়ালখালী পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ড সহ অন্যান্য স্থানে হযরত শাহ সুফী পেতন , আউলিয়া ( রাঃ ) এর ওরশ প্রতি বছর মার্চ মাসে উদযাপিত হয়ে থাকে । ওরশ উদযাপন ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য মহতী অনুষ্ঠান । ওরশ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত হযরত পেতন শাহ ( রাঃ ) এর কর্মজীবন আলোচনা করা বাঞ্চনীয় । কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে যে , কয়েক বছর ধরে উক্ত ওরশ শরীফ পালনে ইসলাম ও ঈমান আকিদার পরিপন্থী হয়ে ওরশ উদযাপিত হচ্ছে । মাজার শরীফে যাওয়ার সময় রাস্তায় যানযট ও জনসাধারণের অসুবিধার সৃষ্টি হয় । ওরশ অনুষ্ঠানের দিনে অতি উৎসাহী হয়ে কিছু ভক্তগণ ট্রাক যোগে ঢোল বাদ্য বাজিয়ে DJ আকারে নাচ – গান করে ওরশ পালনের জন্য মাজার শরীফে যায় । যাহা ইসলামিক সংস্কৃতি নহে । বরং ভীন ধর্মী সংস্কৃতি ।আরো লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, মানতকৃত গরু, মহিষকে নেশা জাতীয় খাদ্য এবং ইনজেকশন পুশ করে অস্থির করে তোলে । উক্ত কাজ অমানবিক যাহা মোটেও কাম্য নহে । ফলে অনেকে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন । আরো উল্লেখ্য যে , কেরোসিন সম্বোলিত যে অগ্নি শিখা ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাতে দূর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে । এমতাবস্থায় ওরশ পালনের ক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতা বর্জিত নাচ – গান DJ বাজনা , গরু মহিষ কে অস্বাভাবিক করে না তোলা এবং কেরোসিন সম্বোলিত শিখা ব্যবহার সম্পূর্ণ পরিহার করে ইসালামি শরীয়ত মোতাবেক ওরশ পালন করার জন্য ওরশ পরিচালনা কমিটির প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করেনন।এবিষয়ে ওরশ কমিটির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ওরশের নামে এসব এহেন কর্মকান্ড এড়িয়ে চলতে কমিটির পক্ষ হতে মাইকিং করছি তারপরও সুষ্ঠভাবে ওরশ উদযাপনের জন্য সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, এদেশের মানুষ সরলপ্রাণ ও ধর্মভীরু। এদেশের মানুষের অন্তরে পীর-ওলী-আউলিয়াদের প্রতি যথেষ্ট ভক্তি ও শ্রদ্ধা রয়েছে।ওরশের নাম দিয়ে অপসংস্কৃতি করতে দেওয়া হবে না এখানে ওরশ হবে, তবে অপসংস্কৃতি ও ইসলাম শরীয়ত সমর্থন করে না এরকম কার্যকলাপ হবে না বলে তিনি জানান।
ই-মেইল:
[email protected],
[email protected]
প্রথম
তলা, হোল্ডিং নং# ১৩৮১ (হাজী মার্কেটের পাশে) খন্দকার বাড়ির মোর,ঢাকা-১২১২,বাংলাদেশ।